নির্বাচনী প্রস্তুতি ও পরিবর্তন ২০২৬: ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ বিধান ফিরলো
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও পরিবর্তন ২০২৬: ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ বিধান ফিরলো
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার আর ব্যবহার করা হবে না ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM)। পরিবর্তে আবারও কাগজের ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে। একই সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বহু আলোচিত ‘না ভোট’ (NOTA) বিধান।
কেন ইভিএম বাতিল হলো?
ইভিএম চালুর পর থেকেই এ নিয়ে নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল, ইভিএমে কারচুপির সুযোগ থাকে এবং স্বচ্ছতা কমে যায়। তাই স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে কমিশন ইভিএম বাতিল করেছে।
ইভিএমের প্রধান সমস্যাগুলো:
-
কারচুপির আশঙ্কা
-
ভোটারদের আস্থার ঘাটতি
-
প্রযুক্তিগত সমস্যা ও জটিলতা
-
রাজনৈতিক সমর্থনের অভাব
‘না ভোট’ কী এবং কেন ফিরলো?
‘না ভোট’ বা None of the Above (NOTA) হলো এমন একটি বিধান, যেখানে ভোটার কোনো প্রার্থীকে পছন্দ না করলে সরাসরি ব্যালটে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে এই নিয়ম চালু হয়েছিল, পরে তা বাতিল করা হয়। এবার আবারও তা ফিরিয়ে আনা হলো।
‘না ভোট’ এর গুরুত্ব:
-
অযোগ্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উপায়
-
প্রকৃত মতামত প্রকাশের সুযোগ
-
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা
-
ভোটদানে আগ্রহ বাড়ানো
এই পরিবর্তনে সম্ভাব্য প্রভাব
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইভিএম বাতিল হওয়ায় ভোটারদের আস্থা কিছুটা ফিরে আসবে। একই সঙ্গে ‘না ভোট’ থাকার কারণে ভোটাররা আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
উপসংহার
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ২০২৬-এ ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ পুনঃপ্রবর্তন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এটি স্বচ্ছ নির্বাচন, গণতন্ত্র ও ভোটারদের অধিকার রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
